এবারের বাজেটে ভিন্নতা রয়েছে। আগের বাজেটগুলোতে মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধিসহ যেসব প্রাক্কলন করা হতো তা বাস্তবতার সঙ্গে মিল থাকত না। তবে এবার সেই প্রাক্কলন কাছাকাছি করা হয়েছে, যা বাস্তবায়নযোগ্য।
নতুন বাজেটে করনীতির ক্ষেত্রে সাহসী ও দুঃসাহসিক পদক্ষেপ রয়েছে। যেটা আওয়ামী লীগসহ অন্য কোনো সরকারের সময় দেখা যায়নি। দুঃসাহসিক পদক্ষেপ হলো করনীতিতে জুন পর্যন্ত যেসব অব্যাহতি শেষ হয়ে যাচ্ছে, তা বাড়ানো হয়নি।
এ ছাড়া দেশীয় বাজারমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান আমদানি শুল্কের মাধ্যমে যে ধরনের সুরক্ষা পেত, সেই সুরক্ষাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা করা প্রয়োজন ছিল। কারণ এলডিসি, ট্রাম্প ট্যারিফ ও রপ্তানি বহুমুখী করার জন্য। তবে অর্থায়নের সীমাবদ্ধতার কারণে এ বাজেট অর্জনযোগ্য নয়।
বাজেটে গতানুগতিক দিক হলো ব্যয়ের দিক। বাজেটের মোট ব্যয়ের অবস্থা আগের মতোই। কিছু কিছু জায়গায় কমানো বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা অর্জিত হওয়ার মতো নয়। এর ফলে ব্যাংকঋণ বেশি ধরা হয়েছে। যাতে ঘাটতি মেটাতে পারে।
ব্যাংকঋণের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, এর মধ্যেই থাকতে হবে। তা না হলে ট্রেজারি বিলের সুদের হার বাড়বে। এতে ব্যাংকগুলো সরকারের ঋণ দিতে উৎসাহী হবে। বেসরকারি খাতের ঋণ পাবে না। বেসরকারি খাত ঋণ না পেলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে প্রভাব পড়বে।