ঈদে ব্যবসা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কাজে কয়েকগুণ লেনদেন বাড়ে ব্যাংকগুলোতে। টাকা জমা ও উত্তোলনে দীর্ঘলাইনে অপেক্ষা করতে হয় গ্রাহকদের। আর সেবা দিতে ব্যস্ত সময় কাটান ব্যাংক কর্মকর্তারা।
এদিকে শুক্রবার থেকে টানা ৩ দিন বন্ধের মধ্যেও পোশাক শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারিদের বেতন-বোনাস ও ভাতা পরিশোধ এবং রফতানি বিলের সুবিধার্থে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট এলাকাগুলোতে ব্যাংক খোলা রয়েছে। তাছাড়া ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস হিসেবে ৮ ও ৯ এপ্রিল পুরোদমে ব্যাংকিং চলবে সব শাখায়।
তবে ঈদ ও নববর্ষ উপলক্ষে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংকগুলো। তাই গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এটিএম বুথ ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু রাখবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
গ্রাহকরা জানান, আগের মতো এখন আর অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় না। ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা চালু হওয়ায় জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গা থেকে টাকা উত্তোলন করা যায়। তবু বেশি পরিমাণের টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক শাখায় লেনদেন করাটাই বেশি সুবিধাজনক।
তবে অনেক গ্রাহকই বিশেষ এই দিবসগুলোতে বুথে চাপ বেড়ে যাওয়ায় হেনস্থা শিকারের অভিযোগ তোলেন। এই ঈদেও বুথগুলো থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন অনেকেই।
রাইয়ান নামের একজন ব্যাংকের গ্রাহক জানান, অনেকেই চিন্তা করছেন ব্যাংকে আসা-যাওয়ার বাড়তি ঝামেলা না করে, নিজ এলাকাতেই বুথে গিয়ে টাকা তুলবেন। তবে, ঈদের আগে চাপ বেশি হওয়ায় বুথগুলোতে টাকা শেষ হয়ে যায় দ্রুত। একদিকে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে, তার ওপর বুথেও টাকা থাকে না। তখন সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হবে। তাই এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আগাম সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এই গ্রাহক।
তবে এসব শঙ্কা উড়িয়ে ব্যাংকিং খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, বর্তমান যুগে ব্যাংকিং সেবার ধরন পরিবর্তন হয়েছে। সব ব্যাংকগুলোই এখন ডিজিটাল প্লাটফর্মের দিকে বেশি দৃষ্টি দিচ্ছে। ঈদে যাতে সাধারণ মানুষের কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে না হয়, সেজন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে এবার ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড এবং অন্যান্য ডিজিটাল পরিষেবায় সম্পূর্ণ নিশ্চয়তার আশ্বাস দেন তিনি।
এ ছাড়া ছুটির সময়ে নিয়মিত তদারকির পাশাপাশি এটিএম বুথের নিরাপত্তায় বিশেষ নজর রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী।
ফরহাদুর রহমান