ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বুধবার সকালে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়, যা হামাসের শীর্ষ নেতা ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ নিতে উদ্যোগী হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর সূত্র অনুযায়ী, খামেনির এই নির্দেশের পেছনে তিনজন শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তার বক্তব্য রয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্য।
বৈঠকে উপস্থিত তিন কর্মকর্তার মধ্যে দুজন ছিলেন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্য। খামেনির উপস্থিতিতে সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এই জরুরি বৈঠকে ইসরায়েলে হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে, বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ছিলেন।
খামেনি রেভল্যুশনারি গার্ড এবং সেনাবাহিনীর সামরিক কমান্ডারদের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলে আক্রমণ এবং প্রতিরক্ষা উভয়ের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে। তিনি এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণের সম্ভাবনা সম্পর্কেও সতর্ক করেন।
ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর, খামেনি একটি প্রকাশ্য বিবৃতিতে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, বলেন, “আমরা তাঁর রক্তের প্রতিশোধ নেব। কারণ এ হত্যাকাণ্ডটি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ভূখণ্ডে ঘটেছে। ইসরায়েল ‘কঠোর শাস্তি’ পেতে এ মঞ্চ তৈরি করেছে।”
নবনির্বাচিত ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গার্ডস এবং জাতিসংঘে ইরানের মিশনসহ অন্যান্য ইরানি কর্মকর্তারাও বলেছেন, ইরান এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেবে এবং তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকার রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইরান ও হামাস ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে।