ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের তেল আবিব, হলোনসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার রাতভর চালানো এই হামলায় দেশটির বিভিন্ন স্থানে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠলেও, ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে সংবাদ প্রকাশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এখনো অস্পষ্ট।
হামলার তীব্রতা ও লক্ষ্যবস্তু:
টাইমস অব ইসরায়েলসহ দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের শহর হলোনের একটি ভবনে হামলায় আগুন ধরে যায়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তেল আবিব এবং হাইফা শহরেও ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। দেশটির জরুরি সেবাসংস্থাগুলো জানিয়েছে, হামলার মুখে লোকজন বোমা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ছুটে গেছে।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (IRGC) এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তাদের হামলায় একসঙ্গে ২৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ মধ্য ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনা এবং অপারেশনাল সহায়তা কেন্দ্রগুলো। এই হামলায় ইরানের নিজস্ব নকশার শাহেদ-১৩৬ ড্রোন, সেইসঙ্গে কঠিন ও তরল জ্বালানিচালিত ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। IRGC আরও জানিয়েছে, “বিশ্বের অন্যতম উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের আটকাতে পারেনি।”
ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া ও বিধিনিষেধ:
ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী লেবানন সীমান্তবর্তী এলাকায় ইরানের ছোড়া বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে। সেখানেও সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয় যাতে শহরের বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারে। মধ্য ইসরায়েলে একটি চারতলা ভবনের ছাদে আগুন ধরে গেলেও, পরে দমকল বাহিনী তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সংবাদ প্রকাশে বিধিনিষেধের কারণে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে, যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে জল্পনা বাড়াচ্ছে।
ইরানের ঘোষণা:
IRGC ঘোষণা করেছে যে সম্মিলিত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকবে। এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে।