২০২২ সালে এমসিজি’তে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শিরোপা জয়ের পর থেকে অনেক চড়াই-উৎড়াই দেখতে হয়েছে ইংলিশদের। ভারত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর উইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা বলে দুই ফরম্যাটেই সিরিজ হার। তবে সবশেষ মে’তে পাকিস্তানের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত ৪ ম্যাচ সিরিজটা ২-০ তে জিতে কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরেছে থ্রি-লায়নদের।
টি-টোয়েন্টির বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সামনে এবার মসনদ ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে এর আগে কখনোই দেখা হয়নি এই দুই প্রতিবেশী দলের। সামর্থ্যের বিচারে স্কটিশদের বিপরীতে ফেভারিট হিসেবেই ম্যাচে নামবে ইংলিশরা। আর ২০১৮ বিশ্বকাপের মতো আরও একবার চমক দেয়ার লক্ষ্য স্কটল্যান্ডের। কেনসিংটন ওভালে ম্যাচ শুরু হবে আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৮টায়।
প্রতিপক্ষের মনে ভীতির সঞ্চার করতে ইংলিশ টপ-অর্ডারের তিন-চারটে নামই যথেষ্ট। বাটলার, ফিল সল্ট, উইল জ্যাকস কিংবা জনি বেয়ারস্টো; একহাতেই ম্যাচ জয়ের সামর্থ্য আছে প্রত্যেকের। মিডল অর্ডারে হ্যারি ব্রুক আর আগের আসরের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট অলরাউন্ডার স্যাম কুরান। গতির ঝড় তুলতে পুরোপুরি ফিট আর্চার। সঙ্গে মার্ক উড। স্পিন ডিপার্টমেন্টের নেতৃত্বে অভিজ্ঞ আদিল রশিদ। সবমিলিয়ে দারুণ ব্যালেন্স টিম দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা তৃতীয়বার খেলতে আসা স্কটল্যান্ডের লক্ষ্যটা আপাতত সুপার এইটে ওঠার। আর সেটা নিশ্চিত করতে ৫ দলের গ্রুপে ওমান-নামিবিয়া ছাড়াও ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অন্তত একটি ম্যাচে জিততে হবে। সেক্ষেত্রে ব্যাট হাতে দলকে ভালো সূচনা এনে দিতে হবে জর্জ মানজি-চার্লি টিয়ারদের। ম্যাথিউ ক্রস-হ্যারিসদের পাশাপাশি গুরুদায়িত্ব নিতে হবে বুড়ো ক্যাপ্টেন রিচি বেরিংটনকে। ইংলিশ কাউন্টিতে খেলা পেসার ব্র্যাড কুরি আর হোয়েলদের সুইং আর বাউন্সের সাথে গ্রিভস-ওয়াটদের ঘুর্ণির সঠিক প্রয়োগটাও হতে হবে যথাযথ।
পরিসংখ্যানের খেরোখাতায় কাঁটাছেড়ার সুযোগ নেই। কেননা টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে কখনও ইংলিশদের মুখোমুখি হয়নি স্কটিশরা। তবে ২০১৮ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংলিশদের যেভাবে চমকে দিয়েছিলো স্কটল্যান্ড, তাতে নিশ্চয় আইসিসি’র সহযোগী দেশটাকে হালকাভাবে নেবে না ক্রিকেটের জনকরা।