বড় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের শুরুটা হয় বিতর্ক দিয়ে। এরপর টুর্নামেন্ট জুড়ে দলের বাজে পারফরম্যান্সে সমর্থকদের হৃদয় ভাঙে। সেই সঙ্গে চলে দোয়া চাওয়া। মাঠে নিবেদন যেমনই হোক, যেন দোয়াই পারে টাইগারদের দুর্দশা থেকে উত্তরণ ঘটাতে। আরেকটি বিশ্বকাপ যখন মাঠে, বাংলাদেশ দল ফের ভরসা খুঁজছে দোয়ায়।
বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রান করতে সংগ্রাম, এরপর যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজ হারের লজ্জা। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই আত্মবিশ্বাস তলানিতে নামতে আর কী লাগে!
আত্মবিশ্বাস যেমনই হোক, মাঠের খেলা যেমনই হোক, বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভালো করতে পারে দর্শক-সমর্থকদের দোয়া পেলেই। টাইগারদের দলটা চলছে দোয়ায় ভর করে- দেশের ক্রিকেট নিয়ে এমন ব্যঙ্গ খোদ সমর্থকরাই করেন। আর সেই ব্যাপারটা খেলোয়াড়রাও ভালো করেই জানে। অন্তত সাকিব আল হাসান শত ব্যস্ততার মাঝেই সেই খবর রাখেন
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের আগে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ। টেক্সসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে বাংলাদেশ। সেই অনুশীলনেই সাকিবকে বাগে পেলেন বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদকর্মীরা। তাদের সঙ্গে চোখাচোখি হতেই স্বভাবসুলভ দুষ্টুমিতে মেতে উঠলেন সাকিব।
হাসিখুশি মুডে থাকা সাকিব অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করেন সাকিব। সে সময় সংবাদকর্মীরা জানান, টাইগারদের সাফল্যের জন্য তাদের দোয়া করার কথা। জবাবে স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমরা তো মায়েদ দোয়া ক্রিকেট টিম।’ উত্তর শুনে সাংবাদিকদের মধ্যে হাসির রোল পড়ে যায়।
মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ দলকে মজা করে অনেকেই এই নামে ডাকে। খেলাধুলা, রাজনীতি আর ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটানো সাকিব ঠিকই খোঁজ রাখেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দল নিয়ে হওয়া আলোচনা। তাই বিষয়টি তার নজর এড়ায়নি।
এরপর অবশ্য সাকিব সংবাদকর্মীদের হতাশ করেননি। আবদার মিটিয়েছেন সকলের সঙ্গে ছবি আর সেলফি তুলে। ফুরফুরে মুডে থাকা এমন সাকিবকে বিশ্বকাপেও দেখতে চাইবে বাংলাদেশের সমর্থকরা। দলের জয় পেতে শুধু দোয়ায় যে কাজ হবে না সেটা তারাও জানে। আর সাকিব ভালো পারফর্ম করলে টাইগারদের জয়ের সম্ভাবনা বাড়ে আরও।