সমতট ডেস্ক: কুমিল্লার স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. বশির আহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে “বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতি”-তে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছিলেন। তবে ২০১৯ সালে এক ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনায় তাকে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তার অপরাধ? তিনি বিএনপির মিটিং-মিছিলে অংশগ্রহণ করতেন।
ডা. বশির জানান, তৎকালীন কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ.ক.ম বাহাউদ্দীন বাহার সরাসরি তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, “তুই ছাত্রদের নিয়ে বিএনপির মিছিলে অংশগ্রহণ করিস, তুই কুমিল্লা ছেড়ে চলে যাবি না হলে তোকে গুলি করে মেরে ফেলব।” এরপর এমপির নির্দেশে হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি ও কিছু চিকিৎসক ডা. বশিরকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে নানা রকম অপমানজনক আচরণ করেন। তার সাথে থাকা কাগজপত্রে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়া হয়, যা তাকে ভবিষ্যৎ বিচারপ্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত করার একটি চক্রান্ত।
তিনি আরও বলেন, “আমি ছাত্রজীবনে মিটিং-মিছিলে অংশগ্রহণ করলেও, চিকিৎসক হওয়ার পর থেকে শুধুমাত্র চাকরি এবং পরিবার নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু কিছু সৌজন্য সাক্ষাতের কারণে আজ আমার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।”
ডা. বশির অভিযোগ করেন, হাসপাতালের পরিচালনা কমিটি দুর্নীতি এবং ফ্যাসিবাদী আচরণের মাধ্যমে তার চাকরি ফেরতের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। কুমিল্লার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা বিষয়টি নিয়ে বারবার আলোচনার চেষ্টা করলেও, কমিটি তাতে সায় দেয় নি।
ডা. বশির বলেন, “আমি কেবল আমার চাকরি ফেরত চাই, কারণ আমার পরিবারের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত করুণ।”
তিনি জাতীয় পর্যায়ে তার সমস্যা তুলে ধরার জন্য দেশবাসী এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, যাতে এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার অবসান ঘটে এবং তিনি তার চাকরি পুনরুদ্ধার করতে পারেন।